“বাংলাদেশীদেরকে বিদেশীরা কিভাবে মূল্যায়ন করে”
এই লেখা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যারা স্বপ্ন দেখেন সঠিক পথে Europe, ইতালি, সুইডেন, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, পর্তুগাল, মাল্টাসহ বিদেশে চাকরিসহ ভিসা নিয়ে যাবার এবং যারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়তে যাবেন পার্ট টাইম চাকরিও করবেন এই আাশায়।
পূর্বের পর্বগুলো ধারাবাহিক ভাবে পড়ে নিলে বুঝতে সুবিধা হবে। ধারাবাহিক ভাবে লিখেছেন; সম্মানিত ব্যারিষ্টার মহোদয়গণ, ইমিগ্রেশন আইনজীবীগণ এবং প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ স্যার।
১১. মিলান, ইতালি:- ইতালির রাজধানীর রোম সহ বড় শহর যেমন ভেনিস, ফ্লোরেন্স, নেপলস, তুরিন, কাটালোন ইত্যাদি শহরে বাঙালি গিজগিজ করছে। প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশী কোম্পানি এবং মালিক রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ইতালিয়ান কোম্পানিতেও বাংলাদেশী মালিক রয়েছে। সাধারণ ইতালিয়ানদের কাছে বাঙালিরা রিফিউজি আর ব্যবসায়ীদের কাছে বাঙালিরা হচ্ছে টাকার খনি। যে কারণেই ১৬ ইউরো খরচে বের হওয়া একটি নোলস্তার জন্য সাত থেকে ১৫ হাজার ইউরো দাবি করে। স্পন্সর এবং নন স্পন্সর দুই ক্যাটাগরিতেই একই খরচ হলেও বেশ টাকা দাবি করে থাকে। এর আরেকটা কারণ হচ্ছে যারা ওখানে আছে তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনকে নিতে চায়, সেই কারণে তারাও অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে রাখে। সব মিলিয়ে বাজার খুবই গরম। যে কারণে আমাদের কাজ করার সুযোগ খুবই কম। ইতালির সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে কম করে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা যে কাজই করেন না কেন আর কোনরকমে পারমিট ইস্যু হলে ভিসা কনফার্ম। পারমিট বের হতে বেশ দেরি হলেও এম্বাসিতে তেমন কোন জটিলতা নাই সে কারণে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে সব সময় ইতালি অবস্থান করে।
Image credit Google: স্বপ্ন যখন “ইউরোপ”
১২. উপসালা, সুইডেন:- সুইডেনের রাজধানী স্টকহোম ও আশেপাশের শহরগুলোতে কাজ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হলেও একটু দূরে গেলে প্রচুর পরিমাণে কাজ রয়েছে। সুইডিশদের কাছে আমরা শিক্ষিত এবং ভদ্র হিসেবে পরিচিত। আর এই অবস্থানটা তৈরি করেছে মূলত বাংলাদেশি ছাত্ররা। এক সময় সুইডেনে বিনা পয়সায় মাস্টার্স করা যেত এবং প্রচুর ছাত্ররা এসে পড়াশোনা করত। বর্তমানে টাকা লাগলেও ভালো সংখ্যক স্টুডেন্ট আসছে এবং পড়াশোনা করছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করে মোটামুটি একটা ভালো অবস্থান তৈরি করেছে। সুইডেনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে দীর্ঘসূত্রিতা। লম্বা সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে সবকিছুর জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। কারণ তারা আগামী বছরের কার্যক্রম এই বছর শুরু করে। যেটা বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টকর। এক দেড় বছর অপেক্ষা করা যে কারো জন্যই কষ্টকর। তবে ধৈর্য ধরে যার অপেক্ষা করেছেন আমরা দেখেছি প্রত্যেকেই ভিসা পেয়েছেন। পারমিট হলে শতভাগ ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। মোটামুটি দেড় থেকে দুই লাখ টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। কারো হাতে পর্যাপ্ত সময় এবং ধৈর্য ধরার মানসিকতা থাকলে সুইডেন আপনার পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে।
১৩. ডেনমার্ক:- রাজধানী কোপেনহেগেন এর বাহিরে ইংরেজি বলা লোকজনের অভাব সেই কারণে জব খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর। রাজধানীতেই প্রচুর জব রয়েছে। এখানেও বাংলাদেশীদের অবস্থান খুবই ভালো। কারণ এখানে যারা পড়াশোনা করতে আসে তাদেরকে যথেষ্ট পয়সা খরচ করতে হয়। তারা এখানে কাজ করে একটি ভালো বাজার তৈরি করে রেখেছে। ডেনমার্কের শ্রমবাজার নতুন করে উন্মুক্ত হয়েছে অর্থাৎ গত সপ্তাহের একটি আইন পাশ হয়েছে, যার কারণে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি শ্রমিক এখন আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী দীর্ঘদিন অপেক্ষা করা লাগতো। নতুন নিয়মটি করা হয়েছে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য। এখানে ওদের দুই লাখ টাকা ইনকাম করার সুযোগ আছে। নতুন বাজার হিসেবে চেষ্টা করে দেখতে কোন সমস্যা নেই।
১৪. নেদারল্যান্ড:- রাজধানীতে রেড লাইট ডিস্ট্রিক গুলোতে যথেষ্ট জবের সুযোগ থাকলেও অন্যান্য এরিয়াতে জব কম। রাজধানীর বাহিরে প্রচুর জব থাকলেও সেটা কনস্ট্রাকশন ও এগ্রিকালচারে সীমাবদ্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে শ্রমশক্তি রপ্তানির একটি চুক্তি হয়েছে। বেশ কিছু শ্রমিক ইতিমধ্যে গিয়ে কাজ শুরু করেছে। ১২০০€ থেকে ১৫০০€ ইনকাম করছে। সরকারিভাবে আরও ব্যাপক লোক নেয়ার আয়োজন চলছে। আপনারা চাইলে সরকারি ভাবে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আর বেসরকারি প্রক্রিয়া সবসময় চলমান। সরকারি প্রক্রিয়ায় কাজ দ্রুতগতিতে হলেও বেসরকারি প্রক্রিয়ায় কাজে যথেষ্ট ধীরগতি রয়েছে অর্থাৎ আপনাকে মোটামুটি ৯-১০ মাসের অপেক্ষা করতে হবে।
১৫. লিসবন, পর্তুগাল:- পর্তুগালের রাজধানী লিজবোনের মাতৃমনিজ এলাকায় গেলে আপনার বুঝতে কষ্ট হবে পুরাতন ঢাকায় আছেন নাকি ইউরোপে আছেন। লক্ষ লক্ষ বাঙালি ঝাকে ঝাকে পর্তুগালে আসছেন এবং তারা সবাই কম বেশি এই এলাকায় অবস্থান করেন। স্বাভাবিকভাবেই এখানে আপনাকে খুবই কষ্ট করতে হবে। যেহেতু প্রচুর লোকজন সে কারণেই মালিকরা অত্যন্ত দুষ্টু। থাকা খাওয়ার জায়গা দিয়ে ঠিকমতো বেতন দিতে চায় না। দিলেও ৫০০ থেকে ৭০০ ইউরোর বেশি সহজে দিতে চায় না। শুধুমাত্র কৃষি কনস্ট্রাকশন এবং ফিশারিজ এই তিনটা সেক্টরে ৭৫০€ (+) বেতন পেয়ে থাকেন। এগুলো লিজবোন থেকে অনেক দূরে অর্থাৎ গ্রামের দিকে। ওই সমস্ত জায়গায় গিয়ে থাকলে মোটামুটি একটা জীবন ধারণ করা যায়। যেহেতু খুব সহজেই কাগজপত্র হয় সেহেতু সবাই এখানে আসতে চায় বৈধ বা অবৈধভাবে। কৃষি ক্ষেত্রে তাদের প্রচুর লোক দরকার সে কারণেই অনেক পারমিট ইস্যু হয়েছে এবং যথারীতি এম্বাসিতে জ্যাম সৃষ্টি হয়ে গেছে। ৮ থেকে ৯ মাস সময় লেগে যাচ্ছে শুধু দূতাবাসের এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য। আর পারমিট ইস্যু হতে কমবেশি ৪ থেকে ৮ মাস সময় লেগে যাচ্ছে। সুতরাং ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে পারলে এটি আপনার একটি অপশন হতে পারে।
Image credit Google: স্বপ্ন যখন “ইউরোপ”
১৬. গোযো, মাল্টা:- বাংলাদেশে আমরাই প্রথম ২০১৮ সালে যখন মালটা নিয়ে কাজ শুরু করি তখন অনেকেই টিটকারি দিয়ে বলতো মালটা খায় না মাথায় দেয়?। পাঁচ বছরের ব্যবধানে হাজার হাজার মানুষ এখন মালটা যেতে চায়। ২০২০-২১ সালে সেনজেনের শতাধিক ভিসা আমরাই দেখিয়েছিলাম ফলশ্রুতিতে অযাচিত শত্রুতা তৈরি হয়েছে। তারপরের কাহিনী আপনারা সবাই জানেন সারা বিশ্বের সবাই আদা জল খেয়ে মাল্টার পিছনে লেগে গেল ফলাফল ভিসা পাওয়া বন্ধ। আমাদের ১০০% ভিসা দেখে তখন অনেকেরই গা জ্বলে ছিল। আপনারা বলতে পারেন, কেন ভাই আপনারা কি ম্যাজিক জানেন? বিষয়টা ম্যাজিকের না বিষয়টা হচ্ছে প্রক্রিয়ার। বর্তমানে আমাদের কাজ বন্ধ থাকলেও অনেকে প্রসেস করে যাচ্ছে ভিসা ও পাচ্ছে। মূলত মালটার লোকজন বুঝে গেছে বাঙালিরা আসে ইতালি পর্তুগাল এ সমস্ত দেশে পালানোর জন্য। সুতরাং যারাই নিয়োগ দিচ্ছে তারা বুঝে শুনে হিসাব করে নিয়োগ দিচ্ছে বা দিবে। আর আমাদের বিভিন্ন বাঙালি ভাইয়েরা গিয়ে এমনকি আমাদের কিছু ক্লাইন্টও বর্তমানে মালটার কোম্পানির মালিক। সুতরাং তারাও বুঝে না বুঝে সমানে পারমিট বের করতেছে ফলাফল স্বরূপ ভিসার হার কমে গেছে। মালটার বাহিরে গোযোতে এখনো যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বুঝে শুনে ভালো কোম্পানি দেখে পারমিট নিয়ে আসতে পারলে এখনো যথেষ্ট সম্ভাবনাময় একটি বাজার। যারা ওখানে অবস্থান করতেছেন তারা আরামছে লাখ খানেক টাকা ইনকাম করতে পারছেন।
১৭. আয়ারল্যান্ড: মাল্টার মতই আটলান্টিক সমুদ্রের দ্বীপ রাষ্ট্র আয়ারল্যান্ডে প্রচুর বাঙালি রয়েছেন। মূলত যারা ইউকে পড়াশোনার জন্য গিয়েছিলেন তাদের একটি বিরাট অংশ আয়ারল্যান্ডে গিয়ে স্থায়ী হয়েছেন। সে কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে একটি সুনাম রয়েছে বাংলাদেশীদের। ব্রেকজিট এর আগে ও পরে ইউকের প্রচুর লোকজন ঐখানে স্থায়ী হয়েছেন। মূলত তারাই বাংলাদেশ থেকে লোকজন নিয়ে থাকেন। এছাড়াও স্থানীয় লোকজন দক্ষ লোক হলে বাংলাদেশী নিতে আগ্রহী আছেন। তবে এখানে একটি বড় বাধা হচ্ছে খরচ। আয়ারল্যান্ডের পারমিট বের করতে অনেক টাকা খরচ, …অংকটা বলে বিতর্ক তৈরি করতে চাচ্ছি না। এটুকুই বলতে পারি যে টাকা খরচ হয় সে টাকা দিয়ে কোন ব্যবসা ছাড়া আপনার পক্ষে যাওয়া সম্ভব হলেও যারা কাজ করবে তাদের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব নয়। এই কারণেই এই দেশের বাজারটি মূলত আত্মীয়-স্বজন নির্ভর হয়ে গেছে অনেকটাই ইতালির মত। যেহেতু প্রচুর খরচ সেই কারণেই আত্মীয়-স্বজনরা এত টাকা দিয়ে আত্মীয়-স্বজনের কাছে যেতে চান অপরিচিত লোকজনের কাছে এত টাকা দিতেও চান না যেতেও চান না। এখানে যারা কাজ করেন তারা মোটামুটি দেড় থেকে দুই লাখ ইনকাম করতে পারেন।
১৮. ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া:- অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা এবং আশেপাশের কিছু অঞ্চল ছাড়া ইংরেজি চলে না বলেই জব জোগাড় করা অত্যন্ত কঠিন। এখানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে তাদের প্রচুর লোকবল লাগবে তবে ভাষাগত সমস্যা প্রধান অন্তরায়। এখানকার মানুষজন অত্যন্ত ভদ্র এবং বাংলাদেশী যে কমিউনিটি আছে তারা সবাই অত্যন্ত ভালো কাজ করছেন। সে কারণে আমাদের যথেষ্ট সুনাম আছে সেখানে। মূল কারণ হচ্ছে ওইখানে যারাই কাজ করছে তারা মূলত শিক্ষিত এবং ভাষা জানে। এখানে মূলত বাংলাদেশের দক্ষ কর্মীদের একটি বিশাল বাজার রয়েছে। যে সমস্ত কোম্পানির ইংলিশ স্পিকিং মালিক আছে তারা আমাদেরকে অত্যন্ত পছন্দ করে। কারণ আমাদের যে লোকজন ওখানে কাজ করছে তারা অত্যন্ত দক্ষ। ইঞ্জিনিয়ার ডাক্তার নার্স সোশ্যাল ওয়ার্কার আইটি কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার ফ্যাক্টরি সহ বিশাল একটি বাজার পড়ে রয়েছে। কিছুটা ডয়েচ ভাষা জানলে বিশাল সম্ভাবনার একটি দেশ। তবে এদের একটা সমস্যা হচ্ছে সবকিছু অগ্রিম করে। অর্থাৎ আপনি যদি আগামী বছর কাজে যান তাহলে এই বছর আপনাকে নিয়োগ হবে এবং কার্যক্রম শুরু হবে। সে কারণেই অত্যন্ত ধৈর্য ধরে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে কাজকর্ম করতে হয়। যেটা বাংলাদেশের জন্য প্রায় অসম্ভব। এখানে যারা কাজ করেন মোটামুটি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা ইনকাম করে।
১৯. কুবিন, স্লোভাকিয়া:- একসময় রাশান ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত থাকা এই রাষ্ট্রটিতে ভাষা একটা মূল সমস্যা। মূলত রাশিয়া থেকে কিছু লোকজন ওখানে গিয়ে স্থায়ী হয়েছিলেন যারা মূলত রাশিয়াতে পড়তে গিয়েছিলেন। সেই কারণে এখানে বাংলাদেশীদের অবস্থান খুবই ভালো। প্রচুর কাজের চাহিদা রয়েছে, বিশেষত কনস্ট্রাকশন সেক্টরে। করোনা পরবর্তী সময়ে প্রচুর ভিসা হয়েছে। তারপরে যা হয় সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং বর্তমানে ইন্ডিয়াতে এম্বাসি ডেট দেয়া বন্ধ রেখেছে। পাঁচ বছর আগে এম্বাসি ঠিক এই একই আচরন করেছিল এবং যথারীতি আমাদেরকে যথেষ্ট গালিগালাজ শুনতে হয়েছিল। তারপর থেকে আমরা বাংলাদেশ থেকে কোন ফাইল রিসিভ করছি না। তবে জিসিসি কান্ট্রি থেকে এবং বাংলাদেশের বাইরে থেকে কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এটি নতুন বাজার না হলেও খুব কম সংখ্যক সফল হতে পেরেছেন দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে। তাই বিশাল মার্কেটের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকায় যথেষ্ট ভালো রয়েছে এখনো। এখানে সমস্যা মূলত একটাই ইনকাম কম। ৮০-৯০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়া ভাষাগত সমস্যার কারণে কম বেশি কিছু সমস্যা হয়। আমি যে শহরে গিয়েছি এবং বাঙ্গালীদের সাথে কথা বলেছি তারা আমাকে এটা জানিয়েছে, অন্যান্য শহরে এবার যাওয়ার সুযোগ হয় নাই।
২০.লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া এবং স্লভেনিয়া:- এগুলো সবই মূলত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্র। সে কারণে ইংরেজি বিদ্বেষ আছে। স্বাভাবিক কারণে ভাষাগত সমস্যায় আমাদের পক্ষে সব সময় কাজ করা সম্ভব হয় না। এইবারের সফরে এই দেশগুলো ভিজিট করতে পারি নাই বিধায় হালনাগাদ নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তথ্য দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। যেহেতু না জেনে আমরা কোন তথ্য দেই না, সেই কারণে এই বিষয়ে আপাতত তথ্য দিলাম না। বরফ ঠান্ডা কমে গেলে জুলাই আগস্ট মাসে আরেকবার আসার ইচ্ছা আছে। তখন পূর্বে রাশিয়ান ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সবগুলো দেশ নিয়ে আলাদা করে ভিডিও সহ বিস্তারিত আপনাদের কাছে তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ।