“বাংলাদেশীদেরকে বিদেশীরা কিভাবে মূল্যায়ন করে”
এই লেখা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যারা স্বপ্ন দেখেন সঠিক পথে ইউরোপ, যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশে চাকরিসহ ভিসা নিয়ে যাবার এবং যারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়তে যাবেন পার্ট টাইম চাকরিও করবেন এই আাশায়।
দৃষ্টি আকর্ষণ করছি:
যারা বিভিন্ন কারণে এস.এস.সি বা সমমান পাস করার পর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি, আইইএলটিএস (আন্তর্জাতিক ইংরেজি ভাষা পরীক্ষা পদ্ধতি বা ইংরেজি দক্ষতার সার্টিফিকেট) স্কোর নেই বা অনেক বিষয়ে ঘাটতি আাছে। তাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা সবাই জেনে আসছি Europe সহ বিভিন্ন দেশে যেতে অনেক রকম নিয়ম ও কাগজপত্র লাগে। তাই লজ্জা বা ভয়ে বা সংকোচ মনে গোপনে যেকোনো মাধ্যমে বিদেশ যেতে চেষ্টা করছেন। নতুন করে আর কেউ যেনো ভুল পথে না এগোয় এবং ফাঁদে না পরেন, তাদের জন্যই এই লেখার মাধ্যমে সতর্কতার বার্তা। বিদেশমুখী মানুষগুলো বারবার প্রতারিত হচ্ছেন, সর্বশান্ত হচ্ছেন, এমনি কি প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই।
পূর্বের পর্বগুলো ধারাবাহিক ভাবে পড়ে নিলে বুঝতে সুবিধা হবে। ধারাবাহিক ভাবে লিখেছেন; সম্মানিত ব্যারিষ্টার মহোদয়গণ, ইমিগ্রেশন আইনজীবীগণ এবং প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ব্যারিস্টার জুবায়ের আহমেদ স্যার।
২১. লন্ডন, যুক্তরাজ্য:- বিলেতে বাংলাদেশীদের তিন পুরুষ ধরে বসবাস। সে কারনে ইউকেবির অনুমোদিত ভাষার তালিকায় বাংলার পাশাপাশি সিলেটিও স্থান দখল করেছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন লন্ডনে বাংলাদেশীদের বিশেষ করে সিলেটিদের অবস্থান। এমনকি কিছু কিছু এরিয়া বাংলাদেশিদের দখলে। যেমন টাওয়ার হ্যামলেট, বিশেষ করে হোয়াইট চ্যাপেল পুরোপুরি বাংলাদেশীদের নিয়ন্ত্রণে। সে কারণেই এই এলাকায় থাকলে আপনি দেশের বাইরে আছেন বলে মনে হবে না। তবে এই সমস্ত এলাকার বাহিরে এখনো পর্যন্ত হোয়াইট ব্রিটিশরা বাংলাদেশীদের কে খুব ভালো চোখে দেখেনা। এখনো চাকর বাকরই মনে করে। আর সে কারণেই বর্তমানে প্রচুর কেয়ার ওয়ার্কার নিচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। ভদ্র ভাষায় বললে, কেয়ার ওয়ার্কার আর খাঁটি বাংলায় বললে আয়া বুয়া। ছোট করার জন্য শব্দ চয়ননা, মূলত যেন বুঝতে পারেন সেই জন্য। অর্থাৎ ব্রিটিশদের সেবা-শুশ্রূষার জন্য লোক প্রয়োজন এবং সেটা প্রচুর পরিমাণে। সে কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক নিচ্ছেন। আর যেহেতু বেতন অত্যন্ত ভালো ঘন্টায় কমপক্ষে ১৪ পাউন্ড যা মাসিক হিসেবে বাংলা টাকায় প্রায় তিন লাখ। সে কারণেই অনেকেই আগ্রহী। তবে এখানেও ইতালির মত নেপটিজম। অর্থাৎ আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবরাই বাজার দখল করে রেখেছে। এছাড়াও ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো বুঝে গেছে, আপনি টাকা দিতে সক্ষম সুতরাং তারাও মোটামুটি দাবি করে বসেছে। কমপক্ষে ১২ হাজার এবং সর্বোচ্চ ১৮ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত তারা দাবি করেছে, এর উপরে লইয়ার, এম্বাসি, ইন্সুরেন্স, টিকিট, ম্যানপাওয়ার সবগুলো যোগ করলে খরচ দিয়ে দাঁড়াচ্ছে বিশ হাজার পাউন্ড। যা অনেকেরই ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ কারণেই এটা মূলত সিলেটিদের সুযোগ হয়েছে, কেননা এত টাকা দিয়ে আপনি বাহিরের লোক হলে বিশ্বাস করতে চাইবেন না। তবে আসার কথা হচ্ছে এখনো পর্যন্ত ১০০% ভিসা হচ্ছে অর্থাৎ সার্টিফিকেট অফ স্পন্সরশীপ যেটাকে কস বলে, ইস্যু হলে ভিসা পাওয়া যাচ্ছে মোটামুটি নিশ্চিত। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে বিজনেস এবং বিজনেস স্টার্টআপ ভিসা দিচ্ছে। বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হল তারা ভালো গুছিয়ে নিয়েছেন। এর বাহিরে স্টুডেন্ট ভিসায় যারা এসেছেন বা আসছেন টাকা না থাকলে মোটামুটি বিপদে আছেন। সর্বশেষ প্রক্রিয়া হচ্ছে বিয়ের মাধ্যমে প্রচুর লোকজন লন্ডনে আসছে। তিন পুরুষের ঐতিহ্যবাহী দেশে আপনি আসবেন কিনা সেটা একান্তই আপনার সিদ্ধান্ত, তবে যথেষ্ট সুযোগ এখনো বিদ্যমান। এটাকে সবাই ল্যান্ড অফ অপরচুনিটি বলে আসলেই সত্য।
২২. হোয়াইট হর্স, ইউকন, কানাডা:- বিলেতের রাজার আরও একটি স্বীকৃত রাষ্ট্র কানাডা অর্থাৎ ব্রিটিশ রাজা এখন পর্যন্ত কানাডার রাজা। কানাডায় যুক্তরাজ্যের মত বাংলাদেশীদের দ্বিতীয় পুরুষ অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রজন্ম বসবাস করছে। তবে বাংলাদেশীদের মূল বসবাসের জায়গা অন্টারিও প্রদেশের টরোন্টো শহরের ড্যানফোর্থ এভিনিউ, এছাড়াও অটোয়া, মন্ট্রীআল, মেঘগ্রিল, ভ্যানকুভার, এডমন্টন ইত্যাদি শহরে বাঙালি কমিউনিটি আছে। (আরো কিছু শহরে রয়েছে, সংখ্যায় কম তাই উল্লেখ করলাম না অনেকে আবার এটা নিয়ে দোষ ধরবেন বা ভুল মনে করবেন)! আমাদের আলোচনার জায়গা মূলত কাজের ক্ষেত্র নিয়ে। এ সমস্ত জায়গায় কাজ পাওয়া যায় না বিষয়টা এরকমনা। অবশ্যই পাওয়া যায় তবে মালিকরা সাধারণত কেনেডিয়ান গ্রাজুয়েট ছাড়া নিয়োগ দিতে চায় না। অর্থাৎ আপনার যেকোন দেশের ডিগ্রি থাকুক না কেন তারা চায় এই দেশের একটা ডিগ্রী। সে কারণেই এই সমস্ত প্রদেশগুলোর শ্রমবাজার মূলত ছাত্রদের দখলে। অর্থাৎ যারা পড়াশোনা করবেন অথবা ইমিগ্রেশন নিয়ে আসবেন তারাই মূলত এখানে কাজগুলো পাবেন বা করবেন। এই কারণেই কানাডার ওয়ার্ক পারমিট কথাটা শুনলেই অনেকেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন, অনেকেই লাফ দিয়ে ওঠেন টাউট বাটপার বলে হাসাহাসি করেন। কিন্তু উনারা ভুলে যান, উনাদের দেখা জগতের বাহিরেও আরো জগৎ আছে। আমরা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে সমস্ত জায়গায় আমরা ওয়ার্ক পারমিটের কথা বলছি, সে সমস্ত জায়গায় কোন বাঙালি যিনি বর্তমানে কানাডায় আছেন তাকে যদি বলা হয় আপনি শুধু থাকবেন সেই জন্য পয়সা দেওয়া হবে তাও তিনি থাকবেন না। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, কি কারনে বা কেন আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হবে বা আপনাকে নেয়া হবে। একমাত্র কারণ ঐখানে কেউ থাকতে চায় না। কানাডার কোল্ড স্টেট নামে খ্যাত ইউকন, ম্যানিটোবা, সাচকেচুয়ান এই তিন প্রদেশের রাজধানী ছাড়া বাকি শহরে কেউ থাকতে আগ্রহী না, এমনকি কানাডার নাগরিকরাও না। সুতরাং এই জায়গায় প্রচুর জব আছে। স্বাভাবিক কারণেই ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু হয়। আর পারমিট ইস্যু হলে শতভাগ ভিসা ইস্যু হয়। তবে সমস্যাটি হচ্ছে কানাডার ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। অনেকেই ভাবতে পারেন কেন ভাই এত দীর্ঘ সময় লাগে। এর মূল কারণ হচ্ছে এই সমস্ত অঞ্চলে বছরে ৪-৫ মাসের বেশি অফিস করা সম্ভব হয় না সব মিলিয়ে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন কেন সময় বেশি লাগে। যারা এ সমস্ত জায়গায় যান নাই তাদের পক্ষে এটা বোঝা আসলেই অসম্ভব। কারণ আপনার কাছে ঠান্ডা কোন সমস্যা মনে না হলেও সারা বছর মাইনাস ঠান্ডা একটা বড় সমস্যা। আমাদের কাছে এমন উদাহরণ আছে, যাদেরকে আমরা ভিসা করে দিয়েছিলাম তাদের একজন যাওয়ার পর তিন মাস থেকে বাংলাদেশে চলে এসেছেন বর্তমানে বিশাল গরুর ফার্মের মালিক। উনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম চলে আসলেন কেন? কি সমস্যা? ধৈর্য ধরে আর দু এক মাস থাকলে কার্ড পেয়ে যেতেন অন্য জায়গায় যেতে পারতেন! বলল ভাই ৭ দিনে একজন লোক পাইনা কথা বলার এভাবে থাকা যায়?? জি হা কানাডার এটাই মূল সমস্যা লোকজন নাই। মাইলের পর মাইল যাওয়ার পরেও একজন লোক দেখা পাওয়া যায় না। সুতরাং এই সমস্ত জায়গায় মালিকরা অতি আগ্রহে আপনাকে নেয়ার জন্য বসে আছে। আপনি যে কষ্ট করে ওখানে থাকবেন এই জন্যই তারা কৃতজ্ঞ। এই প্রতিকূলতা মেনে নিয়ে যারা ওখানে অবস্থান করছেন তারা মোটামুটি দুই থেকে তিন লাখ খুব সহজে ইনকাম করতে পারছেন। আর আপনারা সবাই জানেন কষ্ট করে তিন বছর থাকতে পারলে রেসিডেন্সি পাওয়া যায়। প্রসঙ্গে উল্লেখ করে রাখি, না হলে অনেকে ভুল বুঝতে পারেন, কানাডার বড় শহরগুলোতে যেমন টরেন্টো, ভ্যানকুভার, মন্ট্রীআল এ সমস্ত জায়গায় ভালো চাকরি পাওয়া কিন্তু সোনার হরিণ আর মানুষ গিজ গিজ করছে পুরাই বিপরীত চিত্র।
২৩. অস্টিন, টেক্সাস, যুক্তরাষ্ট্র:- বিলেতের মত আমেরিকাতেও বাংলাদেশীদের বসবাস তিন প্রজন্ম ধরে। মূলত ডাইভারসিটি ভিসা বা ডিভি লটারির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ লোক আমেরিকায় গিয়েছিলেন এবং স্থায়ী হয়েছেন। সুতরাং বুঝতেই পারছেন বাংলাদেশীদের অবস্থান খুবই শক্ত। জ্যাকসন হাইট সহ বেশ কিছু জায়গা বাঙ্গালীদের দখলে। নিউইয়র্ক, শিকাগো, ডালাস, কলরাদো, সেন ফ্রান্সিস্কো, জর্জিয়া, নর্থ ডেকোটা সহ পুরো আমেরিকাতেই বাঙালিরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে স্টুডেন্ট প্রত্যেক বছর পড়াশোনা করার জন্য যাচ্ছে এবং ওখানে সেটেল হচ্ছে। সে কারণেই বাংলাদেশীদের একটি ভালো বাজার রয়েছে। তবে এখানেও সেই একই অবস্থা বড় শহরগুলোতে প্রচন্ড প্রতিযোগিতা সে কারণেই এই সমস্ত শহরে কেউ বসবাস করলে, তার কাছে এখানে চাকরি সোনার হরিণ মনে হবে আর ওয়ার্ক পারমিট মনে হবে অলীক স্বপ্ন। কারণ মানুষ তার বৃত্তের বাইরে কল্পনা করতে পারেনা। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট এবং ফ্যামিলি ইমিগ্রেশন এই দুটো ক্যাটাগরিতে বেশিরভাগ লোক এসে থাকেন। আর ভিজিট ভিসায় এসে থেকে যাওয়ার সংখ্যাটাও নেহায়েত কম না। সরাসরি ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বেশ কিছু প্রক্রিয়ায় আসা যায়; যেমন এল১, এল টু, এইচ ওয়ান বি, ই বি টু, ই ভি থ্রি। পাশের দেশ ইন্ডিয়া থেকে প্রত্যেক বছর কয়েক লাখ লোক এই সমস্ত ভিসা নিয়ে কাজ করতে যায়। যারা ইতিমধ্যে এসেছেন তাদের সাথে কথা বলে জানা গেল মোটামুটি দেড় থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ইনকাম করতে পারছেন। ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু হলে এখন পর্যন্ত ভিসা রিফিউজ হয়েছে এরকম শোনা যায়নি। অর্থাৎ পারমিট হলে ভিসা হবে। তবে এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে সময় আগে আট থেকে বারো মাসে হয়ে গেলও, বর্তমানে ১৪ থেকে ২২ মাস সময় লেগে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা বাঙালিদের পক্ষে সম্ভব না। সুতরাং সফলতার হার কম। তবে যারাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছেন তারা সফল হয়েছে। অনেকেই বলেন চ্যালেঞ্জের সুরে আপনারা যদি এতই পারেন তাহলে আমাকে নিউইয়র্ক থেকে একটি পারমিট বের করে দেখান তো দেখি। এখন ঘোড়াকে যদি গরু প্রসব করতে বলেন সেটা যেমন সম্ভব হবে না, তেমনি ভাবে নিউইয়র্ক থেকে পারমিট বের করা সম্ভব হবে না আপনি যত টাকাই দেন না কেন। কারণ ওখানেই লোক গিজগিজ করছে। তারা নিজেরাই কাজ পায় না বিদেশ থেকে লোক আনবে কেন? তবে এর ঠিক বিপরীত চিত্র আপনি দেখতে পাবেন, আপনি যদি কষ্ট করে টেক্সাস যান। সেখানেও মাইলের পর মাইল গাড়ি চালালেও একটি লোক খুঁজে পাবেন না। সেখানে আমেরিকানরাও থাকতে চায় না। শুধুমাত্র এই কারণেই আপনার পারমিট হবে এবং পারমিট হলে ভিসা হবে। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়া মেক্সিকোর পাশে হওয়ার কারণে গরমে আমাদের গায়ের রঙের সাথে অনেক মিল আছে। সে কারণেই যারা ওখানে বসতি করেছেন তারা বেশ সুখেই আছে।
২৪. ক্যনকুন, মেক্সিকো:- যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য টেক্সাস এর পাশের দেশ মেক্সিকো। মেক্সিকানরা সবাই অবৈধভাবে বা বৈধভাবে আমেরিকায় আসার জন্য পাগল বা মরিয়া। সে কারণেই মেক্সিকোতেও প্রচুর লোক সংকট। তবে বাংলাদেশীদের জন্য সমস্যা হচ্ছে, মেক্সিকোর ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট ক্রস করতে যথেষ্ট ঝামেলা পোহাতে হয়। কারণ মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে আমেরিকায় যাওয়া বাঙ্গালীদের একটি পছন্দের রূট। সে কারণেই আপনি যে অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশের চেষ্টা করবেন না এই গ্যারান্টি না থাকায় ঢাকা এয়ারপোর্ট সহ যতগুলো এয়ারপোর্ট আপনি ক্রস করবেন সব জায়গায় ঝামেলা করে। সেই কারণে আমরা এটির একটি সমাধান বের করেছি। সবার জন্য না হলেও যারা টাকা খরচ করতে পারবেন তাদের রেসিডেন্সি করা সম্ভব। আপনার কাছে রেসিডেন্ট কার্ড থাকলে কোন ইমিগ্রেশন ঝামেলা করবে না। আরামসে যেতে পারবেন। মেক্সিকো বড় শহর যেমন মেক্সিকো সিটি এবং টুরিস্ট কেন্দ্রিক শহর, যেমন ক্যানকুন এই শহরগুলোতে ইংরেজি ব্যাপকভাবে প্রচলিত সুতরাং স্প্যানিশ ভাষা না জানলেও কোন সমস্যা হয় না। নতুন প্রজন্মের সব মেক্সিকান ইংরেজি বলতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আমেরিকান এর চেয়ে ভাল ইংরেজি বলতে পারে। এর কারণ উপরে বলে দিয়েছি সমস্ত মেক্সিকানরাই চায় যে কোন ভাবেই আমেরিকায় যেতে। এখানে বর্তমানে বেশ কিছু বাঙালি অবৈধভাবে এসে বৈধতা পেয়েছেন। কিছু ছাত্র এসেছে যারা বর্তমানে এখানে সেট হয়েছেন। মোটামুটি ৮০ থেকে ৯০ হাজার ইনকাম করা যায় খুব সহজেই। যাদের জন্য ইউরোপের রাস্তা বন্ধ হয়েছে অর্থাৎ ভিসা রিজেক্ট হয়েছে এটি তাদের জন্য আদর্শ। আবারও বলছি এটি ব্যয়বহুল, সবার জন্য না তবে যারা বহন করতে পারবেন তাদের জন্য খুবই ভালো।