Golden Truth

বান্দরবান এর সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান। Bandarban

বান্দরবান এর সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান

বান্দরবান এর সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান। Bandarban

এই সফরে আমাদের ঘুরে দেখা বান্দরবানের সেরা ১০ দর্শনীয় স্থানগুলো সহ আরও বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত থাকবে।

অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম বান্দরবান যাবো। এবার সেই সুযোগটি করে নিলাম। এই ঈদের লম্বা ছুটির মধ্যে ২ রাত ৩ দিনের জন্যে ঘুরে এলাম। আমার এই ভ্রমণ নিয়ে বিস্তারিত থাকছে আর্টিকেলটিতে। আমি চেষ্টা করবো পুরো ভ্রমণের সুবিধা অসুবিধা গুলো তুলে ধরতে। যাতে করে এই আর্টিকেলের পাঠকদের অগ্রিম ধারনা পেতে সুবিধা হয়। থাকা, খাওয়া, ট্রান্সপোর্টেশন, যাবতীয় খরচ সহ ট্যুর স্পটগুলোতে ভ্রমণের আদ্য প্রান্ত তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হল এইদেশের পাহাড়ি অঞ্চল। দেশের দক্ষিণ দিকে রয়েছে পাহাড়ি জেলা। বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলার মধ্যে একটি হলো বান্দরবান। বান্দরবানের দক্ষিণ-পশ্চিমে কক্সবাজার, উত্তর-পশ্চিমে চট্রগ্রাম জেলা, উত্তরে রাঙামাটি ও পুর্বে মায়ানমার। ভৌগলিক কারণেই বান্দরবানে অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। পাহাড়, নদী ও ঝর্ণার মিলনে অপরূপ সুন্দর বান্দরবান জেলা।

আমরা যারা ভ্রমণপিয়াসী, যখন কোন নতুন একটি স্থানে ঘুরতে যাবো বলে ঠিক করি। তখন থেকেই শুরু করে দেই ঐ স্থান এবং ওখানকার ট্যুর স্পটগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানা। কারণ পূর্ব থেকে ধারনা থাকলে যেমন সুবিধা তেমনি নতুন কিছু জানার আনন্দও তো আছেই। আরও মজা লাগে যখন বাচ্চারা নানা বিষয়ে জানার আগ্রহ দেখায়, তখন যদি ট্যুর গাইড এর মতো তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারা যায় তাহলে তো সেই আনন্দ।

বান্দরবান জেলা ৭টি উপজেলা (আলীকদম, থানচি, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান সদর, রুমা, রোয়াংছড়ি এবং লামা) ৭টি থানা, ২টি পৌরসভা, ৩৩টি ইউনিয়ন, ৯৬টি মৌজা, ১৪৮২টি গ্রাম ও ১টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।

পার্বত্য জেলা বান্দরবান। ভ্রমণপিপাসুদের মনের সব ধরনের চাহিদা মিটে যায় এই জেলায় ভ্রমণ করলে। এই জেলায় রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। এই অঞ্চলের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য হাতে কমপক্ষে ৫-৬ দিন সময় রাখতে হবে। মাত্র ১-২ দিনের সফরে বান্দরবান ঘুরে শেষ করা সম্ভব নয়।

বান্দরবানে রয়েছে মেঘলা, নীলাচল, নাফাখুম, দেবতাখুম, কেওক্রাডং, ডিম পাহাড়, স্বর্ণমন্দির, থানচি, চিম্বুক, বগালেক, শৈলপ্রপাত, তিন্দু, মারায়ন তং, নীলগিরিসহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান।

                        সুচিপত্র:

প্রথম গন্তব্য হলো শৈলপ্রপাত ঝরনা। বান্দরবন থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে থানচি যাওয়ার পথে মিলনছড়ি নামক স্থানে চমৎকার এই জলপ্রপাতটি অবস্থিত। বাংলাদেশের অতি পরিচিত ঝরনাগুলোর মধ্যে শৈলপ্রপাত অন্যতম। পর্যটননগরী বান্দরবানের কাছে হওয়ায় সারা বছরই পর্যটক সমাগমে মুখরিত থাকে স্বচ্ছ ও ঠান্ডা পানির এই ঝরনা। মিলনছড়ির এই জলপ্রপাতটি থানচি থানা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে। এর অত্যন্ত ঠাণ্ডা এবং স্বচ্ছ পানিতে প্রচুর পাথর দেখা যায়। ঝর্ণাটি স্থানীয়দের জন্য বিশুদ্ধ পানির একটি বড় উৎস। জলপ্রপাতের বাইরে একটি বাজারও রয়েছে যেখানে পর্যটকরা তাঁত পণ্য এবং স্থানীয় খাদ্য সামগ্রী কিনতে পারেন। এখান থেকে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সংগ্রামী জীবন গভীরভাবে অবলোকন করা যায়। বান্দরবানের অন্যতম আকর্ষণ চিম্বুক পাহাড় ও নীলগিরির পথের মাঝেই পড়ে শৈলপ্রপাত। তাই নীলগিরি ভ্রমণের গাড়ি মাঝ পথে থামিয়ে এই ঝর্ণা দেখে নেয়া যায়।

সেখানে সময় কাটিয়ে দ্বিতীয় গন্তব্য নীলগিরি যেতে পারেন।

নীলগিরি, থানচি
নীলগিরি, বান্দরবান
নীলগিরি

নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় তেংপ্লং চুট পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি বাংলাদেশের সর্ব উঁচুতে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্র। নীলগিরিকে বলা হয় বাংলাদেশের দার্জিলিং। যেখানে গেলে মেঘের ভেলা দেখার জন্য আর ভারতের দার্জিলিং যেতে হয় না।নীলগিরি পাহাড়টি বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়টি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট উঁচুতে। এই পাহাড়ের চূড়ায় আছে সেনাবাহিনী পরিচালিত বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পর্যটনকেন্দ্রগুলোর একটি ‘নীলগিরি পর্যটনকেন্দ্র’। চারপাশে সবুজের সমারোহ। মাঝে মাঝে দূর আকাশে দেখা যায় কোথাও কোথাও হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ার দৃশ্য। যা দূর থেকে দেখার আনন্দ ভিন্ন রকমের। নীলগিরি যাওয়ার পথে রাস্তের দু’ধারেই পাহাড়। পাহাড়ি রাস্তার দুই থেকে আড়াই হাজার ফুট নিচেও দেখা যায় চোখ ধাঁধানো মোলায়েম সবুজ দৃশ্য। বান্দরবান শহর থেকে নীলগিরি ৪৬ কিলোমিটার দূরের ভ্রমণ। দু’ ঘণ্টার বেশি সময় ব্যয় হয় সেখানে পৌঁছাতে।

নীলগিরি

নীলগিরি ভ্রমণ শেষ করে রওনা দিতে পারেন শহরের দিকে। তখনই পথিমধ্যে পড়ে চিম্বুক পাহাড়মেঘলা। আরো ২০-২৫ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই পাহাড়ি সাঙ্গু নদী উঁকি দেয়। মিলনছড়ি পর্যন্ত সাঙ্গুর এমন দৃশ্য মন ভরিয়ে দেবেই। এরপরেই চিম্বুক পাহাড়। বান্দরবন শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের অন্যতম উঁচূ শৃঙ্গ চিম্বুক পাহাড় অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২৫০০ ফুট। চিম্বুক বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত। একটু উপরে উঠতেই চোখ ছানাবড়া। পাহাড় আর পাহাড়! আহা, কী সুন্দর। মনে হবে পুরো বাংলাদেশকে চিম্বুক পাহাড়ে দাঁড়িয়ে এক মহূর্তে উপভোগ করতে পারবেন। এত সুন্দর আমাদের এই দেশ, চিম্বুক পাহাড়ে না এলে জানতামই না। এবার চিম্বুক থেকেও নেমে যাওয়ার পালা। দুর্ভাগ্যজনক হলো আমাদের সময় কম হওয়ায় আর মেঘলায় যাওয়া হয়নি। তাই সরাসরি আমরা চলে গেলাম শহরে। সেখান থেকে নীলাচল।

আমাদের তৃতীয় ভ্রমণের স্থান হলো নীলাচল। এটি বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

Read more……..খাগড়াছড়ি জেলার ১০ টি দর্শনীয় স্থান | Khagrachari Travel Guide

নীলাচল
নীলাচল

নীলাচল বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অন্যতম দর্শনীয় স্থান। এখানে নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলা প্রশাসনের তত্তাবধানে বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়ার পাহাড়চূড়ায় গড়ে তোলা হয়েছে আকর্ষণীয় এই পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০০ ফুট উপরে অবস্থিত। নীলাচল থেকে সমগ্র বান্দরবান শহর একনজরে দেখা যায়। মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজারর সমুদ্রসৈকতের অপুর্ব দৃশ্য নীলাচল থেকে পর্যটকেরা উপভোগ করতে পারেন। নীলাচলে বাড়তি আকর্ষণ হল এখানকার নীল রং এর রিসোর্ট। নাম নীলাচল স্কেপ রিসোর্ট। সাধারণ পর্যটকদের জন্য এ জায়গায় সূর্যাস্ত পর্যন্ত অনুমতি আছে। এখানে নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স বান্দরবান জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়ার পাহাড় চূঁড়ায় গড়ে তোলা হয়েছে আকর্ষণীয় এই পর্যটনকেন্দ্র। নীলাচলে চারদিকের সবুজ গাছপালা, শীতল আবহাওয়া, বিভিন্ন রঙিন গাছ ইত্যাদি। সব কিছু মিলে নীলাচল যেন বাংলাদেশের জন্য এক অপরূপ দান। এত সুন্দর হতে পারে পাহাড়! নিজের চোখে না দেখলে এর আসল উপলব্ধি করা সহজ নয়। নীলাচলের সৌন্দর্য ভাষায় ব্যাখ্যা করা সত্যিই কঠিন।

মেঘলা

মেঘলা – বান্দরবানের প্রবেশ পথেই (বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের) জেলা পরিষদের বিপরীতে সুন্দর মনোরম পরিবেশে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স অবস্থিত। বান্দরবান শহর থেকে এর দুরত্ব ৪ কিলোমিটার। এ পর্যটন কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে- স্বচ্ছ পানির নয়নাভিরাম হ্রদ, হ্রদের পানিতে নৌকায় চড়ার জন্য প্যাডেল বোট, হ্রদের উপর দুটি আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতু, উম্মুক্তমঞ্চ, একাধিক পিকনিক স্পট, ক্যান্টিন, চিড়িয়াখানা, সাফারী পার্ক, চা-বাগান, বিশ্রামাগার ও শিশুপার্ক রয়েছে।

স্বর্ণ মন্দির

বুদ্ধ ধাতু জাদি (স্বর্ণ মন্দির)। বান্দরবন শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে বালাঘাটায় অবস্থিত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মন্দির। স্থানীয়ভাবে স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিত। এই বৌদ্ধমন্দিরটি ৬০ মিটার উঁচু পর্বতের শীর্ষদেশে অবস্থিত। মন্দিরটি দক্ষিণপূর্ব এশীয় স্থাপত্যশৈলীতে তৈরী করা হয়েছে এবং এখানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তিটি আছে। সন্ধ্যা ছয়টার পরে মন্দিরে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। মন্দির চত্ত্বরে শর্টপ্যান্ট, লুঙ্গি এবং জুতা পায়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। পাহাড়ের চূড়ায় দেবতাপুকুর নামে একটি লেক আছে।

বগালেক

বগালেক (বগাকাইন লেক)। ছোট ছোট গ্রাম এবং পাহাড়কে পাশ কাটিয়ে বয়ে চলেছে নান্দনিক এই জলাশয়টি। বগালেক বাংলাদেশের সব থেকে সৌন্দর্যময় প্রাকৃতিক লেক। বান্দরবনের রুমা সদর উপজেলা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থিত লেকটির আয়তন ১৫ একর। লেকের নীল পানি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। শীত মৌসুমে বগালেকে পর্যটকের ভিড় উপচে পড়ে।

রাজবিহার এবং উজানিপাড়া বিহার: স্থানীয়ভাবে বৌদ্ধ মন্দিরসমূহ কিয়াং এবং বিহার নামে পরিচিত। জাদিপাড়ায় অবস্থিত রাজবিহার খুবই সুপরিচিত। উজানিপাড়ায় অবস্থিত উজানিপাড়া বিহারটিও উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান।

নাফাখুম জলপ্রপাত

নাফাখুম জলপ্রপাত বান্দরবান জেলায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। রেমাক্রী নদীতে এক ধরনের মাছ পাওয়া যায়, যার নাম নাফা মাছ। এই মাছ সবসময় স্রোতের ঠিক বিপরীত দিকে চলে। বিপরীত দিকে চলতে চলতে মাছগুলো যখন লাফিয়ে ঝর্ণা পার হতে যায় ঠিক তখনই আদিবাসীরা লাফিয়ে ওঠা মাছগুলোকে জাল বা কাপড় দিয়ে ধরে ফেলে। এ থেকে এই ঝর্ণার নাম দেওয়া হয়েছে নাফাখুম ঝর্ণা। এটিকে আমিয়াখুম জলপ্রপাতের পরই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জলপ্রপাত হিসেবে ধরা হয়।

দেবতাখুম

দেবতাখুম বান্দরবান জেলার একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত জায়গা। এখানে দুইপাশে উঁচু পাহাড়ের মাঝখানে স্বচ্ছ পানি প্রবাহিত হতে থাকে। এটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। দেবতাখুম বান্দরবান জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলায় অবস্থিত। বান্দরবানের স্থানীয়দের মতে এটি প্রায় ৫০ ফুট গভীর এবং প্রায় ৬০০ ফুট দীর্ঘ। এর কাছেই শীলবাঁধা ঝরনা। খাড়া পাহাড়ের কারণে খুমের ভিতর সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছায় না। তাই খুমের যত ভিতরে যাওয়া যায় ততই শীতল মনে হয়। জায়গাটি খুব শান্ত এবং কোলাহলমুক্ত। এর পানিও বেশ স্বচ্ছ। বাঁশের ভেলায় চেপে এই খুমের ভিতর যাওয়া পর্যটকদেরকে এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি দেয়, যা যেকোন মানুষকে খুব সহজে প্রকৃতির প্রেমে আকৃষ্ট করবে। বান্দরবান টাউন থেকে প্রথমে রোয়াংছড়ি আসতে হবে। রোয়াংছড়ি থেকে কচ্ছপতলী বাজার এসে লিরাগাঁও সেনানিবাসে অনুমতি নিতে হয়। সেখান থেকে ঘণ্টাখানেক ট্রেকিং করে শীলবাঁধা পাড়া যাওয়া যায়। শীলবাঁধা পাড়ার কাছেই দেবতাখুম। বর্ষার সময় বা অন্য কোন সময়ই গাইড ছাড়া এখানে যাওয়া নিরাপদ নয়। সাঁতার না জানা থাকলে খুমের ভিতর যাওয়ার আগে লাইফ জ্যাকেট পরে নেওয়া উচিত।

কেওক্রাডং

কেওক্রাডং বা কেওকাড়াডং বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা বান্দরবানে অবস্থিত। এক সময় এটিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ধরা হত। তবে আধুনিক গবেষণায় এই তথ্য ভুল বলে পাওয়া যায়। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল তাজিংডং। কেওক্রাডং বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। অর্থাৎ বান্দরবানেরও দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। একসময় যখন একে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মনে করা হতো তখন এর উচ্চতা পরিমাপ করা হয়েছিল ১,২৩০ মিটার। কিন্তু অধুনা রাশিয়া কর্তৃক পরিচালিত এসআরটিএম উপাত্ত এবং জিপিএস গণনা থেকে দেখা গেছে এর উচ্চতা ১,০০০ মিটারের বেশি নয়। শৃঙ্গের শীর্ষে সেনাবাহিনী কর্তৃক উৎকীর্ণ যে ফলক দেখা যায় তাতে এর উচ্চতা লেখা হয়েছে ৩,১৭২ ফুট। জিপিএস সমীক্ষায় উচ্চতা পাওয়া গেছে ৯৭৪ মিটার (৩,১৯৬ ফুট)। এসআরটিএম উপাত্ত এবং মানচিত্রের মাধ্যমে এই পরিমাপ করা হয়েছে।

সাইরু হিল রিসোর্ট

সাইরু হিল রিসোর্ট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে বান্দরবান-থানচি সড়কের চিম্বুক পাহাড়ের আগে এর অবস্থান। প্রায় হাজার ফুট উঁচু পাহাড় চূড়ায় নান্দনিক ও আধুনিক বিলাসবহুল এই রিসোর্টে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। বান্দরবান শহর থেকে জীপ/চান্দের গাড়ি কিংবা সিএনজি দিয়ে সরাসরি সাইরু হিল রিসোর্টে যাওয়া যায়। ৪৫মিনিট থেকে ১ঘণ্টার এই যাত্রা। সাইরুতেই নিজস্ব খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পছন্দমতো বিভিন্ন খাবার খাওয়া যাবে। এছাড়াও রয়েছে আদিবাসীদের বিশেষ খাবার। ব্যাম্বো চিকেনের স্বাদ নিতে চাইলে সেটাও মিলবে এখানে।

Read more……..India is the best place for family holidays in 2024

বান্দরবানে পাহাড়ে গেলে যে খাবার সবাই খায়

দিনশেষে সন্ধ্যার অন্ধকারে বৈচিত্র্যময় এক পরিবেশ তৈরি হয় স্থানীয় মুন্ডির খাবারের দোকানগুলোতে। স্থানীয়দের সব বয়সের অন্যতম প্রিয় খাবারের নাম মুন্ডি। চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি করা খাবারটি মূলত পাহাড়িদের এক প্রকার স্থানীয় নুডুলস। মানুষের খুব পছন্দের খাবার এটি। তাই পারিবারের সবাইকে নিয়ে পাহাড়ি খাবারের স্বাদ নিলাম। ছোটরা প্রথমে আগ্রহ দেখায়নি, কিন্তু আমাদের চাপাচাপির পরে একটু স্বাদ যখন পেয়ে গেলো তখন আবার নতুন করে অডার দিতে হলো।মুন্ডি নামটি এসেছে মারমাদের কাছ থেকে। বান্দরবানের যে কোনো পাহাড়ি এলাকায় সকাল-বিকেলে খাবারের হোটেলে এ খাবার পাওয়া যায়। শুধু পাহাড়ে নয়, বান্দরবানে বেড়াতে আসা অনেক পর্যটকদের কাছেও জনপ্রিয় মুন্ডি।

স্থানীয় খাবার মুন্ডি

এছাড়াও পাহাড়ি নানা স্বাদের খাবারের পাশাপাশি বাঙ্গালি ঘরনার খাবারের হোটেল আছে। তাই থাকা খাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হইনি।

সরকারি ও কথ্য ভাষা হিসেবে বাংলা প্রচলিত। স্থানীয় চাটগাঁইয়ারা চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা হিসেবে মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, বম, লুসাই, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, খিয়াং, খুমি, পাংখুয়া ইত্যাদি প্রচলিত।

বান্দরবানের মারমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই এবং ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম বৈসু। এছাড়া বড় উৎসবের মধ্যে রয়েছে ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে বা প্রবারণা পূর্ণিমা,ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, দূর্গা পূজা ইত্যাদি ধর্মীয় উৎসব

বান্দরবান এর সেরা ১০টি দর্শনীয় স্থান। Bandarban এই আর্টিকেল থেকে বেশ কিছু Tour spot -এর ধারনা পওয়া যাবে, আশাকরছি সবাই উপকৃত হবেন।

এছাড়াও বান্দরবান জেলার আরও দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:

Golden Truth Team

Affiliate Disclosure We are affiliated with several companies. When you purchase any referred product, we get a small commission. It does not charge you anything extra, but we get a small percentage.
Exit mobile version